সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় ১১ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ উদযাপন করছে আগাম ঈদ পটুয়াখালীতে আজ ৩৫টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন পালিত হচ্ছে কলাপাড়ায় ৩৪টি এসএসসি ব্যাচের ‘হাইস্কুলিয়ান ইফতার ২০২৫’ অনুষ্ঠিত কলাপাড়া পৌর নির্বাচন।।মেয়র পদে নির্বাচন করতে তৎপর নান্নু মুন্সী কলাপাড়ায় জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বেগম জিয়ার রোগমুক্তির জন্য ইফতার কলাপাড়া সাংবাদিক ক্লাবের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান কুয়াকাটায় ১০ দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিএনপি সভাপতির দুই ছেলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১ নেতার পদ স্থগিত বাউফলে থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের ইফতার অনুষ্ঠিত এক খেয়া পারাপারে মাসে অতিরিক্ত হাতিয়ে নেয় ৭৫ হাজার টাকা।। আওয়ামীলীগ’র সিস্টেমই সচল কলাপাড়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি।।অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার সহ ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট কলাপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আটক কলাপাড়া ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
লক্ষাধিক মানুষ ৭ দিন ধরে পানিবন্দি

লক্ষাধিক মানুষ ৭ দিন ধরে পানিবন্দি

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স ঃ

কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী জেলার বানের পানির চাপে চাঁদপুরের শাহরাস্তি এবং কচুয়া উপজেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা এক সপ্তাহের বেশি সময় পানিবন্দি হয়ে আছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কচুয়া উপজেলার আশরাফুর ইউনিয়নের ভবানিপুর, সানন্দকড়া, রসুলপুর পিপলকরা ও শাহারাস্তি উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের উনকিলা, রায়শ্রী, সন্ডিপাড়া দাদিয়া পাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার ঘুরে দেখা যায় বহু ঘরবাড়ি তলিয়ে আছে।

একই সঙ্গে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি। বিশেষ করে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি নিয়ে লোকজন খুবই বিপাকে রয়েছেন।

এসব এলাকায় দুর্গত লোকদের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিছু সহায়তা দিলেও রান্নাবান্না করে খাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। শুরুতে পানিবন্দি লোকজন কিছু শুকনো খাবার পেলেও এখন চলছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

পিপল করা গ্রামের দুলাল মিয়া বলেন, গত ১০ দিন ধরে তাদের গ্রামের বহু বাড়িঘর পানির নিচে। গোয়ালঘর, টয়লেট এবং রান্নাঘরগুলোতে পানি উঠে যাওয়ায় চরম সংকটের মধ্যে রয়েছেন। কেউ কেউ উঁচু জায়গায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠলেও অনেকেই এখন পর্যন্ত পানির সঙ্গেই বসবাস করছেন।

রাজশ্রী গ্রামের আনামিয়া বলেন, আমার বসতঘরটি গত এক সপ্তাহ ধরে পানির নিচে। এ পরিস্থিতিতে আমি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিলেও গবাদি পশু নিয়ে রয়েছি খুব বিপাকে। এখন পর্যন্ত তাদের এলাকায় কোনো ধরনের সহায়তা আসেনি।

একই ইউনিয়নের দাদিয়া পাড়ার বাসিন্দা শাহনাজ ও ফারহানা বলেন, বানের পানির কারণে আমাদের রাস্তা তলিয়ে গেছে। যে কারণে আমরা এখন মূল ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। প্রতিটি ঘরে হাঁটু সমান পানি, খাবার রান্না করার পরিস্থিতিও নেই। আমরা খুবই অসহায় অবস্থায় আছি।

 

স্থানীয় মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আশিকুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার কিছু লোক সহযোগিতা নিয়ে এসেছেন। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতার চেষ্টা করছি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিভাবে এসব লোকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা উচিত।

শাহারাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত জানান, বানের পানিতে এখন পর্যন্ত পানিবন্দি আছেন ৫৫ হাজারের অধিক মানুষ। সাড়ে তিন হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ জানান, পানিবন্দি এলাকায় ইতোমধ্যে কিছু লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD